সোমবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

।। সুপ্তনগরের গান ।।






নয়নের মাঝে নয়নার বিচরণ
তাহাতে জলসমুদ্র!
কে তোমায় ভাসিয়ে দিলে, কি বিষাদ বিষনীলে, বুঝিনি আগুন ছিলো ও বুকে;
সুপ্তনগরের নাগরিক রাতকুমারী, আজন্মকাল যার সাধনা নয়ন মাঝে।


বুঝিনি আধার ছিল তোমার উত্তাপ উরুরও ভাজে;
হাঁড়ের ভাঁজেও পুষে ছিলে উত্তাপ ডানার আলব্রাটস,
আমাকে দংশন করার মতো, একটা ঠোটের স্রোত ই যথেষ্ট ছিল,
তা না করে ছুড়ি চালালে হৃদপিন্ড বরাবর,
ফিনকি দেয়া রক্তে রাঙিয়ে নিলে তোমার আধারি চোখ,
উত্তাপ উরুর আলব্রাটস।

রবিবার, ৩ মে, ২০১৫

স্বপ্নরা অনুভূতি শূন্যা




স্বপ্নরা :
তারপর;
সে আধারিতে ছড়িয়ে দিলো স্বপ্নের রোশনাই;
আমাকে কুড়াতে ডাকল।
আমি হাটু ভেঙ্গে বসতেই স্বপ্নরা এদিক ওদিক ছুটে পালালো,
আমি ছুঁতে পারলাম না।
আমি চোখের পুষ্পে গাঁথতে পারলাম না; সপ্ন মাল্য।


অনুভূতি :

ঝিঁ ঝিঁ ডাকা এক রাতে,
সে ছিলো আমার সাথে।
স্পর্শ নিতে চাইল; চোখে, কপালে, অধর, গ্রীবা সব চাইল,
আমি ভাস্কর্যের মতো দিলাম।
অনুভূতি পেলাম না; কেমন যেন তন্দ্রাচ্ছন্ন !!!
কিছু জাগলো না মনে; অনুভূতি এলো না; ঝুলে রইলো; আকাশের গায়।

শূন্য :

এক ভর দুপুরে সে আমায় বললো;
কুয়োতে ঝাঁপ দাও পরিপূর্ণ জলরাশি পাবে;
আমি ডুব দিলাম; কত পথ পেরুলাম।
শীতলতা পেলাম, তবু শূন্যতা আমার পিছু ছড়ালো না;
অধিকন্তু শূন্যই রয়ে গেলাম।

শনিবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

:: কালি দা ও জীবনানন্দ ::




কালি দা জিজ্ঞাসিলে, জীবনানন্দের মানে জানিস?
আমি মাথা দুলিয়ে বললাম জীবনানন্দ হলো কবি। কালি দা মুখ বেঁকিয়ে বললো, তুই শালা কিসসু জানিস্ না। তোরা হলি টিপিক্যাল বাঙালী। ভাত, মাছ আর দুপুর বেলার ঘুম ছাড়া কিস্সু বুঝিস না। সেই কবে বঙ্গবন্ধু একদল ভালো মানুষের সাথে সামথিং চোর, রাজাকার আর দালালদের সংমিশ্রণ ঘটিয়ে দিয়ে গিয়েছিলো, তারপর থেকে শুধু বছরের কয়েকটা দিন একদল মুখোশপরা মানুষকে নিয়ে গিয়ে শহীদ বেদীতে ফুল দেয়া, মুখে তেলের বাটি বসিয়ে ফেনা তুলে ভাষন দেয়া আর টক শো নামের কক শো-তে হাপানি রোগীদের মতো হাঁপিয়ে উঠা ব্যাস এ পর্যন্তই। এই হলুম আমরা হালুম বাঙালী।
আমি খানিকটা চুপ মেরে বললাম, বুঝলাম তোমার কথা। তাহলে জীবনানন্দ মানে কি?
কালি দা আমার দিকে ভ্রুকুটি করে বললো- একদিকে যদি বাংলা লিখি অপর দিকে হবে জীবনানন্দ!